শুক্রবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে জঘন্য ২টি মিথ্যাচার

ইদানিং ডঃ জাকির নায়েক বিদ্বেষীরা ডঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে চরম দুটি মিথ্যাচার করছে।
১)রাম ও কৃষ্ণ নবী হতে পারেন
২)ডঃ জাকির নায়েক ইমামদের সমালোচনা করেছেন।

১)ডঃ জাকির নায়েক বলেছেন যে রাম আর কৃষ্ণ নবী হতে পারেন।
এখানে ডঃ জাকির নায়েক বিদ্বেষীরা কি মিথ্যাচারটা করে তার আগে একটা উদাহরণ দেই।এরা এইভাবে লেখা দেবে
//ডঃ জাকির নায়েকে বলেছেন রাম/কৃষ্ণ নবী হতে পারেন।এখানে ডঃ জাকির নায়েক রামের সাথে কৃষ্ণেরও নবী হবার সম্ভাবনা দেখিয়েছেন।//
এরপরের কাহিনী আমাদের সবার জানা।এরপরে কৃষ্ণের লুলামির রেফারেন্স দেয়।আমরা যারা ইসলাম এবং তুলনামূলক ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনা করি বা লেখালেখি করি তারা কম বেশি সবাই কৃষ্ণের লুলামির সম্পর্কে অবগত।ডঃ জাকির নায়েকও এসব ব্যাপারে অবগত।তবে দাঙ্গা ফাস্যাদ যাতে না হয় তাই তিনি এসব উদ্ধৃতি দেন না।একটা উদাহরণ দেই।খুব সম্ভবত রবী শংকরের সাথে বিতর্কের সময় বা ইসলাম এবং হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্যের অনুষ্ঠানে ডঃ জাকির নায়েক একজন হিন্দুর প্রশ্নের জবাবে বলেন,"এমন অনেক গ্রন্থ আছে যেমন মনুসিংহতায় যেখানে হিন্দু নারীদের হেয় করা হয়েছে।তবে আমি তা দিতে চাই না কারণ তাহলে হিন্দুরা আমাকে হিন্দু বিদ্বেষী বলবে....."
ডঃ জাকির নায়েক আমার,আপনার আর সেসব ডঃ জাকির নায়েক বিদ্বেষীদের অনেক আগে থেকেই হিন্দু ধর্মের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে অভিহিত।বরং তিনি এসব বিষয় আমাদের থেকে হাজার গুণ ভালো এবং বেশি জানেন।আলহামদুলিল্লাহ!
এবার মিথ্যাচারটা দেখি।//ডঃ জাকির নায়েক বলেছেন রাম-কৃষ্ণ নবী হতে পারেন।// যারা ডঃ জাকির নায়েকের এ লেকচারের অংশটা দেখেছেন তারা সাথে সাথেই বিষয়টি ধরে ফেলতে পারবেন।আমি যখন প্রথম কৃষ্ণের নাম দেখি তখন আমিও অবাক হয়ে যাই।রেফারেন্সটা আসলে কি তা আমি দিচ্ছি।ডঃ জাকির নায়েক বলেছেন,"রাম ও অর্জুন নবী হতে পারেন।কারণ তাদের কাজের মধ্যে এরকম অনেক নিদর্শন পাওয়া যায় যা নবীদের সাথে মিলে যায়।তবে আমরা রাম আর অর্জুনকে নবী বলব না কারণ আমরা এর কোনো সুসপষ্ট প্রমাণ পাই নি।"দেখলেন তো?ডঃ জাকির নায়েকের এই সরল কথাটারে ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া জিলাপির প্যাচ দিসে কীভাবে?ডঃ জাকির নায়েকের এই কথার মধ্যেই ডঃ জাকির নায়েক বিদ্বেষীদের অপবাদের জবাব দেয়া আছে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে,"ডঃ জাকির নায়েক কোন উক্তিতে বা যুক্তিতে রাম বা অর্জুনকেই নবী বলতে পারেন?এতেই তো তিনি কুফরী করলেন।"
এই প্রশ্নের উত্তর আগেই "ডঃ জাকির নায়েক বিদ্বেষীদের ধুতি সংকট (পর্ব ৩)" আর "ডঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সব অপবাদের জবাব" বইতে দেয়া হয়েছে।তাও আমি এখানে ছোট করে বুঝিয়ে দিচ্ছি।এর মূল কারণ হচ্ছে অজ্ঞতা।যারা এসব প্রশ্ন করেন তারা জানেনই যা পৃথিবীর বেশীরভাগ ধর্মেই হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নাম এসেছে।আরও জানতে উক্ত ই-বুকটি অধ্যায়ন করুন
নামঃ পরধর্মে মুহাম্মদ (স) এবং স্রষ্টা দায়ী প্যারাডক্সের সমাধান
লিঙ্কঃ http://storage.fusionbd.com/162955
সাইজঃ ৭০৩ কিলোবাইট
এই বইটিতে প্রমাণ করা হয়েছে যে সব ধর্মই বাতিল তবে একসময় এগুলো আল্লাহ নাযিল করেছিল।পরে মানুষ বিকৃত করেছে।যেমন উদাহরণস্বরূপ তাওরাত,যাবুর,ইঞ্জিল ইত্যাদি।ইহুদী/খ্রিষ্টানরা যেমন মূসা(আঃ)/ঈসা (আঃ) এর অনুসারী হওয়া সত্ত্বেও তাওরাত/ইঞ্জিল বিকৃত করেছে এবং পথভ্রষ্ট হয়েছে ঠিক তেমনি হিন্দু ধর্মটিরও এরকম সম্ভাবনা থাকাটা অযৌক্তিক না।আর যেমন খ্রিষ্টানদের অনুযায়ী ঈসা (আঃ) হলেন ঈশ্বরের পুত্র তবে এটা ঠিক না।তিনি আল্লাহর নবী ছিলেন।আমরা জানি যে ঈশ্বরের পুত্র বলতে কিছু নেই তাই আমরা ঈসা(আঃ) কে নবী বলি।ওহাই? কারণ আমাদের প্রমাণ,রেফারেন্স এবং জানা আছে।
এখন জানা না থাকলে কেউ যদি যীশু(আঃ) কে আল্লাহর নবী বলে কাউকে বলেন তাহলে প্রতিক্রিয়া আর যেমনই হোক মিথ্যা হবে না।অজ্ঞতার কারণে হয়তো ডঃ জাকির নায়েক বিদ্বেষীদের মতো ভ্যাঁ ভ্যাঁ করবে।তাহলে দেখা যায় খ্রিষ্টানরা যদি ঈসা(আঃ) কে ঈশ্বরের পুত্র বলে মিথ্যাচার করে বাইবেলে নিজেদের মুখের কথা দিয়ে দিতে পারে তাহলে হিন্দুরা কেন পারবে না? বহু প্রমাণও আছে তা না হলে বেদে ভুল থাকত না এবং হিন্দু বলতে কোনো ধর্মও থাকত না।

২)ডঃ জাকির নায়েক ইমামদের সমালোচনা করেছেন।
একবার এক জনাবকে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম,"যদি আমাকে এমন একটা মাত্র রেফারেন্স দিতে পারেন যেখানে ডঃ জাকির নায়েকে ইমামদের সমালোচনা করেছেন তাহলে আমি আজ থেকেই ডঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু করে দিবো"।সুসপষ্ট করে ডঃ জাকির নায়েকের ইমামদের সম্পর্কে মতামতের একটি অংশ দেই তাহলেই এই অপবাদের নাক বল্টু ঢিলা হয়ে যাবে।
ডঃ জাকির নায়েক বলেন,"ইমাম আবু হানিফা,ইমাম মালেক,ইমাম শাফিঈ;তারা সকলেই অনেক বড় বিজ্ঞ এবং আলেম ছিলেন।আমি কখনোই তাদের সমান হতে পারব না।আমি তাদেরকে ভালোবাসি"এখন এরপরেও যদি কেউ বলেন ডঃ জাকির নায়েক ইমামদের সমালোচনা করেছেন তাহলে তাদের মানসিকতার ব্যাপারে সন্দেহ করা যায়।বরং তাঁদের অনুসারীরাই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা শুরু করছে।যেমন ইমাম আবু হানিফা নাকি ৪০ বছর ওযু ছাড়া নামাজ পড়েছেন -_-
থাক আমি আর বললাম না কারণ আমি বললে তো আবার দোষ হয়ে যাবে। ;)
আসলে লা-মাযহাবী,আহলে হাদিস ইত্যাদি দলের অনুসারীদের কিছু মতবাদের জন্য মাযহাবীরা,হানাফিরা,মালেকীরা এসব লিখে বেড়াচ্ছে।
তাই আমি মাযহাবী,লা-মাযহাবীদের ডঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করা বন্ধ করতে বলব।তাই লা-মাযহাবীদের বলব এসব মিথ্যাচার করবেন না যে ডঃ জাকিরের জন্য আপনারা মাযহাব বিদ্বেষ করেন আর মাযহাবীদেরও একই কথা বললাম।ডঃ জাকির নায়েকের একটা সুন্দর কথা দিয়ে শেষ করতে চাই।

"যখন কেউ জনপ্রিয় হয়ে যায় তখন তার সমালোচকরা থাকবেই তা সে যতোই হকপন্থী বা ভালো হউক না কেনো।তবে আমার এতে কিছুই যায়ে আসে না।আমি ইসলামের দাওয়াত দিতে এসেছি অমুসলিমদের এবং ইসলামের বিরুদ্ধে সব অপবাদ,প্রশ্ন,অভিযোগের জবাব দিতে এসেছি।নিজের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং মিথ্যাচারের জবাব দিতে আসি নি"(ডঃ জাকির নায়েক-Historic Debate of Oxford,Islam and 21st century)

২টি মন্তব্য:

  1. এই লেখাটা পডে বুযতে পারলাম জাকের সাহেবের বকতব্য গুলোকে কিছু লোক ভুমিকা ছাডাই অপ্রসংগীক ভাবে মাযখান থেকে এক টুকরা লয়ে তাকে বিতর্কিত করার অপ প্রয়াসে লিপত

    উত্তরমুছুন
  2. এই লেখাটা পডে বুযতে পারলাম জাকের সাহেবের বকতব্য গুলোকে কিছু লোক ভুমিকা ছাডাই অপ্রসংগীক ভাবে মাযখান থেকে এক টুকরা লয়ে তাকে বিতর্কিত করার অপ প্রয়াসে লিপত

    উত্তরমুছুন