চরমোনাই পীরের লেখা 'ভেদের মারেফাত' বা 'ইয়াদে খোদা' বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায়
মৃতকে জীবিত করার যে গল্পটা আছে তা নিম্নরূপঃ
'শামসুদ্দীন তাব্রীজী নামের এক লোক ছিলেন। লোকেরা তাকে পীর সাহেব কেবলা বলত।একদা হযরত পীর সাহেব কিবলা রোম শহরের দিকে রওয়ানা হইলেন। পথিমধ্যে ঝুপড়ির ভে...তর এক অন্ধ বৃদ্ধকে লাশ সামনে নিয়া কাদঁতে দেখিলেন। হুজুর বৃদ্ধকে প্রশ্ন করিলে বৃদ্ধ উত্তর করিলেন, “হুজুর এই পৃথিবীতে আমার খোঁজ খবর করিবার আরকেউ নাই, একটি পুত্রছিল সে আমার যথেষ্ট খেদমত করিত,তাহার ইন্তেকালের পর সে একটি নাতি রাখিয়া যায়। সেই ১২বছরের নাতি একটা গাভী পালিয়া আমাকে দুগ্ধ খাওয়াইত এবং আমার খেদমত করিত, তার লাশ আমার সম্মুখে দেখিতেছেন। এখন উপায় না দেখিয়া কাঁদিতেছি” হুজুর বলিলেন এ ঘটনা কি সত্য? বৃদ্ধ উত্তর করিলেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তখন হুজুর বলিলেন"হে ছেলে আমার হুকুমে দাঁড়াও(!!)"তো ছেলে উঠে দাঁড়াল এবং দাদুকে জড়াইয়া ধরিল, বৃদ্ধ তাকে জিজ্ঞেস করিল “তুমিকিরূপে জিন্দা হইলে? ছেলে জবাব দিল, “আল্লাহর অলি আমাকে জিন্দা করেছেন”। (নাওজুবিল্লাহ) তারপর ঐ অঞ্চলের বাদশাহ হুজুরের এই খবর পেয়ে উনাকে তলবকরিলেন। উনাকে পরে জিজ্ঞেস করিলেন"আপনি কি বলিয়া ছেলেটিকে জিন্দা করিয়াছেন" হুজুর বলিলেন আমি বলেছি “হে ছেলে আমার আদেশে জিন্দা হইয়া যাও” অতঃপর বাদশাহ বলিলেন, “যদি আপনি বলিতেন আল্লাহর আদেশে” হুজুর বলিলেন"মাবুদ! মাবুদের কাছে আবার কি জিজ্ঞেস করিব। তাহার আন্দাজ নাই (নাওজুবিল্লাহ) এই বৃদ্ধের একটি মাত্র পুত্র ছিল তাহাও নিয়াছে, বাকীছিল এই নাতিটি যে গাভী পালন করিয়া কোনরুপ জিন্দেগী গোজরান করিত, তাহাকেও নিয়া গেল। তাই আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক রুহ নিয়ে আসিয়াছি”।' (নাওজুবিল্লাহ)
“কামেল পীরের আদেশ পাইলে নাপাক শারাব দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন করিয়া তাহাতে নামাজ পড়। অর্থাৎ শরীয়তের কামেল পীর সাহেব যদি এমন কোন হুকুম দেন, যাহা প্রকাশ্যে শরীয়তেরখেলাফ হয়(!!),তবুও তুমি তাহা নিরাপত্তিতে আদায় করবে। কেননা, তিনি রাস্তা সব তৈরী করিয়াছেন। তিনি তাহার উঁচু-নিচু অর্থাৎ ভালমন্দ সব চিনেন, কম বুঝের দরুন জাহেরিভাবে যদিও তুমি উহা শরীয়তের খেলাফ দেখ কিন্তু মূলে খেলাফ নহে।”(নাওজুবিল্লাহ) (‘আশেক মাশুক’ মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ এছহাক রচিত ৩৫ নং পৃষ্ঠায়।)
চরমোনাই এর কিছু
কোরআন হাদীস
বিরোধী আকীদা:-
# পীরগণ কেয়ামতের
দিবসে মুরিদগণকে সাহাjjo
করবে। (দেখুন-
ভেদে মারেফতঃ ২৫-২৬,
আশেক মাশুক পৃঃ ৬৬,৮১)
# আখেরাতে পীরগণ
মুরিদের জন্য সুপারিশ
করবে।(দেখুন-ভেদ
ে মারেফতঃ ৬০ পৃঃ)
# পীরের
হাতে মুরিদের হাত
পড়লে পীরসাহেব
মুরিদকে পুলসিরাত পার
করিয়ে নিয়ে যাবেন।
(দেখুন-
ভেদে মারেফতঃ ২৭-২৮
পৃঃ)
# মৃত্যুর সময় পীর স্বীয়
মুরীদকে শয়তান
থেকে বাঁচাতে পারেন।
(দেখুন-ভেদে মা'রেফত
৩১,৩২ পৃঃ)
# পীর মুরীদের গুনাহ
মাফ করানোর মাধ্যম।
(দেখুন-
ভেদে মারেফতঃ ৩৪ পৃঃ)
# শরীয়ত ও মারিফাত
আলাদা বিষয়।
[দ্রঃ ভেদে মা'রেফত
বা ইয়াদে খোদাঃ ১৫-১৭
নং পৃষ্ঠা, আশেক-মাশুক
পৃঃ ৪৯]
# মারেফতের পীর-
ওলীদের
মর্যাদা নবীদের
চেয়েও বেশী! (দেখুন-
আশেক মাশুক ৮৮-৯০ পৃঃ)
#শরীয়ত বহির্ভুত
হলেও পীরের হুকুম
মানা মুরিদের জন্য
বাধ্যতামূলক! (দেখুন-
আশেক মাশুক
বা এস্কে এলাহীঃ ৩৫
প্রিসঠা।
"চরমনাই এর পীর"-- তার লেখাকিতাব
(আশেক মাশুক এর ৮৮-৮৯page)-এ লিখেছেন,
"মুসা (আঃ) এরদিন পথে চলছিলেন, এমন সময়
দেখলেন একরাখাল ধ্যান মগ্ন হয়ে গুন গুন
করে বলছেন,'ওগো আল্লাহ,তোমারে যদি পাইতাম
তাহলে সাবান দিয়া গোসল
করাইতাম,মাথার চুল
আচড়াইয়া দিতাম,আতর
সুরমা লাগাইয়া দিতাম..."
এইসব কথা শুনে মুসা (আঃ) তাকেধমক
দিয়ে বললেন,'কিসব
আজেবাজে কথা বলছ!এসব শিরকি কথা!'
রাখাল ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে গেল। তখন
আল্লাহ (নাকি!) মুসা(আঃ) কে ডাক
দিয়ে তিরষ্কার করলেন এবং জানালেন
রাখালের কথায় তিনি (নাকি!) সন্তুষ্ট
ছিলেন!
মুসা (আঃ) নবুয়াত হারানোর ভয়ে সেই
রাখালকে খুঁজে বের করে তার
কাছে মাফ চাইলেন। তখন রাখাল
জানালো সে নাকি সিরাতুল
মুন্তাহা পার হয়ে আরশের
কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। কিন্তু ঐ
মুহূর্তেতাকে বাধা দিয়ে আল্লাহর
দীদার হতে বঞ্চিত করেছেন।"
এই ঘটনা উল্ল্যেখ করার পরে চরমনাইয়ের
পীর সাহেব বলেছে,"হে মুমীন ভাই সকল!
এখনবুইঝালন যে, মুর্খ লোক মারেফতের
উপরের দরজায়
পৌছাতে পারে কিনা এবং ইহাও
খেয়াল করুন যে মারেফতের রাস্তা কত
গোপন আর কঠিন, যেখানে মুসা (আঃ) এর
মতন নবীওসেই রাখালের
অবস্থা বুঝতে পারেন নাই!"
দেখুন,কি করে একজন
রাখালকে মুসা (আঃ) এর উপরে প্রাধান্য
দিলেন চরমনাইয়েরপীর সাহেব!!
মারেফতের নামে ভন্ডামির দ্বার উন্মুক্ত
করে!
চরমোনাই পীর সাহেব লিখেছেনঃ“হযরত
থানবী লিখিয়াছেন, জনৈক
দরবেশসাহেবের মৃত্যুর পর এক কাফন চোর কবর
খুড়িয়া (দরবেশের) কাফন
খুলিতে লাগিল। দরবেশ সাহেব চোরের
হাত ধরিয়া বসিলেন । তা দেখেচোর
ভয়ের চোটে চিৎকার মারিয়া বেহুঁশ
হইয়া মরিয়া গেল ।দরবেশ স্বপ্নযোগে তার
এক খলীফাকে আদেশ করিলেন
চোরকে তার পার্শ্বে দাফন করিতে ।
খলীফা এতে আপত্তি করিলে দরবেশ
বলিলেনঃ কাফন চোরের হাত আমার
হাতের সঙ্গেলাগিয়াছে, এখন কেয়ামত
দিবসেওকে ছাড়িয়া আমি কেমনে পুলছেরাত
পার
হইয়া যাইব?” (ভেদে মারেফতঃ ২৭-২৮
পৃঃ)
তিনি আরো লিখেছেনঃ কেয়ামতেরসেই
মহাবিপদের সময়হক্কানী পীর সাহেবগণ
আপন মুরীদগণকে হযরত নবী করীম (সঃ) এর
কাছে পৌঁছাইয়া দিবেন ।
এবং হুজুরে আকরাম (সাঃ)
তাহাদিগকে হাউজে কাউছারের
পানি পান করাইবেন।” (আশেক মাশুক
পৃঃ ৬৬)
তিনি আরো লিখেছেনঃ “এরূপভাবে পরকালেও
তাঁহাদের(ওলীদের ) ক্ষমতার
সীমা থাকিবে না। হাশরের মাঠে একজন
আওলিয়ায়ে কেরামের উছিলায় হুজুর
ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ছাল্লামের
হাজারগুনাহগার উম্মতকে আল্লাহ্ পাক
মাফ করিয়া দিবেন।” (আশেকমাশুক পৃঃ ৮১)
বুঝলাম আপনারা মস্ত বড় আশেকে রাসুল(সাঃ) মহা বুজুর্গ
কিন্তু রাসুল (সাঃ) এর প্রেমে পরে ইশক এর
চোটে যে বাদরের মতো বাঁশ বাইতে হয় এই
রীতি নীতি চরমনাই এর পীর মাশায়েখরা কোথায়
পেলো?
✔ চরমনাই পীরের ইসলামি শরিয়তের সাথে মারাত্মক
ধৃষ্টতাঃ
‘’কামেল পীরের আদেশ পাইলে,
নাপাক শারাব দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন
করিয়া তাহাতে নামাজ পড়’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক
পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল
ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহী;
পৃষ্ঠা নঃ ৩৫
--------------------------------------------------------------
✔চরমনাই পীরের কথা তার নিজের জবানেই শুনুন,
তিনি নিজেই বলছেনঃ;
‘’আমিতো এখন আমাকেই চিনি না, আমি যে কে তাহাই
আমি জানি না,
আমি কি জাতি, মুসলমান, না ইহুদী, না অগ্নিপুজক
তাহাও বলিতে পারি না‘’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক
পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল
ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহী;
পৃষ্ঠা নঃ ৯১
--------------------------------------------------------------
✔চরমনাই পীরের হাদীস বিকৃতির ধৃষ্টতাঃ
চরমনাই পীর তার কিতাবে বিনা দলীলে রাসুল (সঃ)-
এর নামে হাদিসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছেন।
প্রথমে আমরা চরমনাই পীরের কিতাব থেকে তাদের
উদ্রিতি উল্লেখ করব অতঃপর আমাদের দলীল প্রমান
উল্লেখ করব।
‘’রাসুল (সঃ) ফরমাইয়াছেন- হে আমার উম্মাতগন,
পূর্বে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করিয়াছিলাম, এখন
আবার আদেশ দিলাম, কবর যিয়ারত করো।
কেননা ইহাতে কবরের চিন্তা তোমাদিগকে দরবেশ ও
অলি বানাইয়া দিবে''
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক
পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল
ফেব্রুয়ারি ২০০৭; অধ্যায়ঃ কবরের আজাব সত্য,
দেখি না কেন? বা কবরের সুখ-দুঃখ; পৃষ্ঠা নঃ ১৮
আমাদের জ্ঞান অনুযায়ী আমরা যথাসাধ্য
চেষ্টা করে কবর যিয়ারতের ফায়দা সম্পর্কে বেশকিছু
হাদীস পাই। কিন্তু সেই সমস্ত হাদিসে ‘’কবরের
চিন্তা তোমাদিগকে দরবেশ ও অলি বানাইয়া দিবে’’
এই বাক্যে কোথাও খুজে পাই না।
=================
কবর যিয়ারতের ফায়দাহঃ
‘’কবর যিয়ারত মৃত্যুকে স্মরন করিয়ে দেয়’’ আবু দাউদ ৩২৩৪
‘’কবর যিয়ারতের মাধ্যমে (শিক্ষা গ্রহনের) সুযোগ
রয়েছে’’ আবু দাউদ ৩২৩৫
‘’কবর যিয়ারত অন্তরকে নরম করে দেয়, চোখে অশ্রু
এনে দেয় এবং আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়’’ হাকিম
(১/৩৭৬)
--------------------------------------------------------------
✔ বিনা প্রমানে চরমনাই পীরের কিতাবে মারাত্মক
বিভ্রান্তিকর তথ্যঃ
‘’স্বামী ভক্তা পর্দানশীন স্ত্রীলোকগনের
চেহারা হাশরের দিন পূর্ণিমার চন্দ্রের মত রওশন হইবে,
তাহারা বিনা হিসাবে বেহেশতে যাইবেন’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক
পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল
ফেব্রুয়ারি ২০০৭; খাছ পর্দা ও স্বামীর
খেদমতঃ
চরমনাই পির এর কাছ থেকে এদের শিরক আর কুফুরি জেনে নিন।আর নিজের এবং আশেপাশের মানুষদের রক্ষা করুন এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের থেকে
১.আল্লাহর আন্দাজ নাই…(ভেদে মারেফাত, ১৫পৃ:)
২. শরিয়ত কামেল পীর সাহেব যদি এমন হুকম দেন যাহা প্রকাশ্যে শরিয়তের খেলাফ হয়, তবুও তা নিরাপত্তিতে আদায় করিবে (আশেকমাশুক, ৩৫পৃ.)
৩. আমি এত বড় আলীশান খোদা,আমি জমিন ও আসমানে সামাই হই না,একমাত্র মোমেনের কলবে সামাই হই….(ভেদে মারেফাত, ২১পৃ:)
৪. মনসুর হাল্লাজ আল্লাহ পাকের মোরাকাবা করিতে করিতে আল্লাহর নূরের মধ্যে গরক হইয়া হঠাৎ একদিন বলিতে লাগিলেন আনাল হক (আমি খোদা)… (আশেক মাশুক, ৪২পৃ.)
৫. পীর সাহেব হলেন আখেরাতের উকিল স্বরূপ… (ভেদে মারেফাত,৬০পৃ:)
৬.যেই ব্যক্তির পীর নাই, তাহার পীর শয়তান… (ভেদে মারেফাত,২৩পৃ:)
৭.বান্দা অসংখ্য গুনাহ করার ফলেআল্লাহ পাক তাহাকে কবুল করিতে চান না। পীর সাহেব আল্লাহ পাকের দরবারে অনুনয় বিনয় করিয়া ঐ বান্দার জন্য দোয়া করিবেন,যাহাতে তিনি কবুল করিয়া নেন।…(ভেদে মারেফাত,৩৪পৃ:)
৮. কাফন চোরের হাত আমার হাতের সঙ্গে লাগিয়াছে, এখন কেয়ামত দিবসে ওকে ছাড়িয়া আমি কেমনে পুলছপার হইয়া যাইব ? (ভেদে মারেফাত,২৭-২৮পৃ:)
৯. পীরের মুরীদ হওয়া ফরজ। (মাওয়াযেজ এসহাকিয়া)
১০.যদি কারো দুইজনপীর হয় তবে দুইপীর তোমার দুই ডানা ধরে বেহেশতে নিয়ে যাবেন, কোনই ক্ষতি নেই । (মাওয়াযেজ এসহাকিয়া, ৫৫-৫৬পৃ:
মৃতকে জীবিত করার যে গল্পটা আছে তা নিম্নরূপঃ
'শামসুদ্দীন তাব্রীজী নামের এক লোক ছিলেন। লোকেরা তাকে পীর সাহেব কেবলা বলত।একদা হযরত পীর সাহেব কিবলা রোম শহরের দিকে রওয়ানা হইলেন। পথিমধ্যে ঝুপড়ির ভে...তর এক অন্ধ বৃদ্ধকে লাশ সামনে নিয়া কাদঁতে দেখিলেন। হুজুর বৃদ্ধকে প্রশ্ন করিলে বৃদ্ধ উত্তর করিলেন, “হুজুর এই পৃথিবীতে আমার খোঁজ খবর করিবার আরকেউ নাই, একটি পুত্রছিল সে আমার যথেষ্ট খেদমত করিত,তাহার ইন্তেকালের পর সে একটি নাতি রাখিয়া যায়। সেই ১২বছরের নাতি একটা গাভী পালিয়া আমাকে দুগ্ধ খাওয়াইত এবং আমার খেদমত করিত, তার লাশ আমার সম্মুখে দেখিতেছেন। এখন উপায় না দেখিয়া কাঁদিতেছি” হুজুর বলিলেন এ ঘটনা কি সত্য? বৃদ্ধ উত্তর করিলেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তখন হুজুর বলিলেন"হে ছেলে আমার হুকুমে দাঁড়াও(!!)"তো ছেলে উঠে দাঁড়াল এবং দাদুকে জড়াইয়া ধরিল, বৃদ্ধ তাকে জিজ্ঞেস করিল “তুমিকিরূপে জিন্দা হইলে? ছেলে জবাব দিল, “আল্লাহর অলি আমাকে জিন্দা করেছেন”। (নাওজুবিল্লাহ) তারপর ঐ অঞ্চলের বাদশাহ হুজুরের এই খবর পেয়ে উনাকে তলবকরিলেন। উনাকে পরে জিজ্ঞেস করিলেন"আপনি কি বলিয়া ছেলেটিকে জিন্দা করিয়াছেন" হুজুর বলিলেন আমি বলেছি “হে ছেলে আমার আদেশে জিন্দা হইয়া যাও” অতঃপর বাদশাহ বলিলেন, “যদি আপনি বলিতেন আল্লাহর আদেশে” হুজুর বলিলেন"মাবুদ! মাবুদের কাছে আবার কি জিজ্ঞেস করিব। তাহার আন্দাজ নাই (নাওজুবিল্লাহ) এই বৃদ্ধের একটি মাত্র পুত্র ছিল তাহাও নিয়াছে, বাকীছিল এই নাতিটি যে গাভী পালন করিয়া কোনরুপ জিন্দেগী গোজরান করিত, তাহাকেও নিয়া গেল। তাই আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক রুহ নিয়ে আসিয়াছি”।' (নাওজুবিল্লাহ)
“কামেল পীরের আদেশ পাইলে নাপাক শারাব দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন করিয়া তাহাতে নামাজ পড়। অর্থাৎ শরীয়তের কামেল পীর সাহেব যদি এমন কোন হুকুম দেন, যাহা প্রকাশ্যে শরীয়তেরখেলাফ হয়(!!),তবুও তুমি তাহা নিরাপত্তিতে আদায় করবে। কেননা, তিনি রাস্তা সব তৈরী করিয়াছেন। তিনি তাহার উঁচু-নিচু অর্থাৎ ভালমন্দ সব চিনেন, কম বুঝের দরুন জাহেরিভাবে যদিও তুমি উহা শরীয়তের খেলাফ দেখ কিন্তু মূলে খেলাফ নহে।”(নাওজুবিল্লাহ) (‘আশেক মাশুক’ মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ এছহাক রচিত ৩৫ নং পৃষ্ঠায়।)
চরমোনাই এর কিছু
কোরআন হাদীস
বিরোধী আকীদা:-
# পীরগণ কেয়ামতের
দিবসে মুরিদগণকে সাহাjjo
করবে। (দেখুন-
ভেদে মারেফতঃ ২৫-২৬,
আশেক মাশুক পৃঃ ৬৬,৮১)
# আখেরাতে পীরগণ
মুরিদের জন্য সুপারিশ
করবে।(দেখুন-ভেদ
ে মারেফতঃ ৬০ পৃঃ)
# পীরের
হাতে মুরিদের হাত
পড়লে পীরসাহেব
মুরিদকে পুলসিরাত পার
করিয়ে নিয়ে যাবেন।
(দেখুন-
ভেদে মারেফতঃ ২৭-২৮
পৃঃ)
# মৃত্যুর সময় পীর স্বীয়
মুরীদকে শয়তান
থেকে বাঁচাতে পারেন।
(দেখুন-ভেদে মা'রেফত
৩১,৩২ পৃঃ)
# পীর মুরীদের গুনাহ
মাফ করানোর মাধ্যম।
(দেখুন-
ভেদে মারেফতঃ ৩৪ পৃঃ)
# শরীয়ত ও মারিফাত
আলাদা বিষয়।
[দ্রঃ ভেদে মা'রেফত
বা ইয়াদে খোদাঃ ১৫-১৭
নং পৃষ্ঠা, আশেক-মাশুক
পৃঃ ৪৯]
# মারেফতের পীর-
ওলীদের
মর্যাদা নবীদের
চেয়েও বেশী! (দেখুন-
আশেক মাশুক ৮৮-৯০ পৃঃ)
#শরীয়ত বহির্ভুত
হলেও পীরের হুকুম
মানা মুরিদের জন্য
বাধ্যতামূলক! (দেখুন-
আশেক মাশুক
বা এস্কে এলাহীঃ ৩৫
প্রিসঠা।
"চরমনাই এর পীর"-- তার লেখাকিতাব
(আশেক মাশুক এর ৮৮-৮৯page)-এ লিখেছেন,
"মুসা (আঃ) এরদিন পথে চলছিলেন, এমন সময়
দেখলেন একরাখাল ধ্যান মগ্ন হয়ে গুন গুন
করে বলছেন,'ওগো আল্লাহ,তোমারে যদি পাইতাম
তাহলে সাবান দিয়া গোসল
করাইতাম,মাথার চুল
আচড়াইয়া দিতাম,আতর
সুরমা লাগাইয়া দিতাম..."
এইসব কথা শুনে মুসা (আঃ) তাকেধমক
দিয়ে বললেন,'কিসব
আজেবাজে কথা বলছ!এসব শিরকি কথা!'
রাখাল ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে গেল। তখন
আল্লাহ (নাকি!) মুসা(আঃ) কে ডাক
দিয়ে তিরষ্কার করলেন এবং জানালেন
রাখালের কথায় তিনি (নাকি!) সন্তুষ্ট
ছিলেন!
মুসা (আঃ) নবুয়াত হারানোর ভয়ে সেই
রাখালকে খুঁজে বের করে তার
কাছে মাফ চাইলেন। তখন রাখাল
জানালো সে নাকি সিরাতুল
মুন্তাহা পার হয়ে আরশের
কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। কিন্তু ঐ
মুহূর্তেতাকে বাধা দিয়ে আল্লাহর
দীদার হতে বঞ্চিত করেছেন।"
এই ঘটনা উল্ল্যেখ করার পরে চরমনাইয়ের
পীর সাহেব বলেছে,"হে মুমীন ভাই সকল!
এখনবুইঝালন যে, মুর্খ লোক মারেফতের
উপরের দরজায়
পৌছাতে পারে কিনা এবং ইহাও
খেয়াল করুন যে মারেফতের রাস্তা কত
গোপন আর কঠিন, যেখানে মুসা (আঃ) এর
মতন নবীওসেই রাখালের
অবস্থা বুঝতে পারেন নাই!"
দেখুন,কি করে একজন
রাখালকে মুসা (আঃ) এর উপরে প্রাধান্য
দিলেন চরমনাইয়েরপীর সাহেব!!
মারেফতের নামে ভন্ডামির দ্বার উন্মুক্ত
করে!
চরমোনাই পীর সাহেব লিখেছেনঃ“হযরত
থানবী লিখিয়াছেন, জনৈক
দরবেশসাহেবের মৃত্যুর পর এক কাফন চোর কবর
খুড়িয়া (দরবেশের) কাফন
খুলিতে লাগিল। দরবেশ সাহেব চোরের
হাত ধরিয়া বসিলেন । তা দেখেচোর
ভয়ের চোটে চিৎকার মারিয়া বেহুঁশ
হইয়া মরিয়া গেল ।দরবেশ স্বপ্নযোগে তার
এক খলীফাকে আদেশ করিলেন
চোরকে তার পার্শ্বে দাফন করিতে ।
খলীফা এতে আপত্তি করিলে দরবেশ
বলিলেনঃ কাফন চোরের হাত আমার
হাতের সঙ্গেলাগিয়াছে, এখন কেয়ামত
দিবসেওকে ছাড়িয়া আমি কেমনে পুলছেরাত
পার
হইয়া যাইব?” (ভেদে মারেফতঃ ২৭-২৮
পৃঃ)
তিনি আরো লিখেছেনঃ কেয়ামতেরসেই
মহাবিপদের সময়হক্কানী পীর সাহেবগণ
আপন মুরীদগণকে হযরত নবী করীম (সঃ) এর
কাছে পৌঁছাইয়া দিবেন ।
এবং হুজুরে আকরাম (সাঃ)
তাহাদিগকে হাউজে কাউছারের
পানি পান করাইবেন।” (আশেক মাশুক
পৃঃ ৬৬)
তিনি আরো লিখেছেনঃ “এরূপভাবে পরকালেও
তাঁহাদের(ওলীদের ) ক্ষমতার
সীমা থাকিবে না। হাশরের মাঠে একজন
আওলিয়ায়ে কেরামের উছিলায় হুজুর
ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ছাল্লামের
হাজারগুনাহগার উম্মতকে আল্লাহ্ পাক
মাফ করিয়া দিবেন।” (আশেকমাশুক পৃঃ ৮১)
বুঝলাম আপনারা মস্ত বড় আশেকে রাসুল(সাঃ) মহা বুজুর্গ
কিন্তু রাসুল (সাঃ) এর প্রেমে পরে ইশক এর
চোটে যে বাদরের মতো বাঁশ বাইতে হয় এই
রীতি নীতি চরমনাই এর পীর মাশায়েখরা কোথায়
পেলো?
✔ চরমনাই পীরের ইসলামি শরিয়তের সাথে মারাত্মক
ধৃষ্টতাঃ
‘’কামেল পীরের আদেশ পাইলে,
নাপাক শারাব দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন
করিয়া তাহাতে নামাজ পড়’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক
পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল
ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহী;
পৃষ্ঠা নঃ ৩৫
--------------------------------------------------------------
✔চরমনাই পীরের কথা তার নিজের জবানেই শুনুন,
তিনি নিজেই বলছেনঃ;
‘’আমিতো এখন আমাকেই চিনি না, আমি যে কে তাহাই
আমি জানি না,
আমি কি জাতি, মুসলমান, না ইহুদী, না অগ্নিপুজক
তাহাও বলিতে পারি না‘’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক
পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল
ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহী;
পৃষ্ঠা নঃ ৯১
--------------------------------------------------------------
✔চরমনাই পীরের হাদীস বিকৃতির ধৃষ্টতাঃ
চরমনাই পীর তার কিতাবে বিনা দলীলে রাসুল (সঃ)-
এর নামে হাদিসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছেন।
প্রথমে আমরা চরমনাই পীরের কিতাব থেকে তাদের
উদ্রিতি উল্লেখ করব অতঃপর আমাদের দলীল প্রমান
উল্লেখ করব।
‘’রাসুল (সঃ) ফরমাইয়াছেন- হে আমার উম্মাতগন,
পূর্বে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করিয়াছিলাম, এখন
আবার আদেশ দিলাম, কবর যিয়ারত করো।
কেননা ইহাতে কবরের চিন্তা তোমাদিগকে দরবেশ ও
অলি বানাইয়া দিবে''
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক
পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল
ফেব্রুয়ারি ২০০৭; অধ্যায়ঃ কবরের আজাব সত্য,
দেখি না কেন? বা কবরের সুখ-দুঃখ; পৃষ্ঠা নঃ ১৮
আমাদের জ্ঞান অনুযায়ী আমরা যথাসাধ্য
চেষ্টা করে কবর যিয়ারতের ফায়দা সম্পর্কে বেশকিছু
হাদীস পাই। কিন্তু সেই সমস্ত হাদিসে ‘’কবরের
চিন্তা তোমাদিগকে দরবেশ ও অলি বানাইয়া দিবে’’
এই বাক্যে কোথাও খুজে পাই না।
=================
কবর যিয়ারতের ফায়দাহঃ
‘’কবর যিয়ারত মৃত্যুকে স্মরন করিয়ে দেয়’’ আবু দাউদ ৩২৩৪
‘’কবর যিয়ারতের মাধ্যমে (শিক্ষা গ্রহনের) সুযোগ
রয়েছে’’ আবু দাউদ ৩২৩৫
‘’কবর যিয়ারত অন্তরকে নরম করে দেয়, চোখে অশ্রু
এনে দেয় এবং আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়’’ হাকিম
(১/৩৭৬)
--------------------------------------------------------------
✔ বিনা প্রমানে চরমনাই পীরের কিতাবে মারাত্মক
বিভ্রান্তিকর তথ্যঃ
‘’স্বামী ভক্তা পর্দানশীন স্ত্রীলোকগনের
চেহারা হাশরের দিন পূর্ণিমার চন্দ্রের মত রওশন হইবে,
তাহারা বিনা হিসাবে বেহেশতে যাইবেন’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী; আল-এছহাক
পাবলিকেশন্স; বাংলাবাজার প্রকাশকাল
ফেব্রুয়ারি ২০০৭; খাছ পর্দা ও স্বামীর
খেদমতঃ
চরমনাই পির এর কাছ থেকে এদের শিরক আর কুফুরি জেনে নিন।আর নিজের এবং আশেপাশের মানুষদের রক্ষা করুন এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের থেকে
১.আল্লাহর আন্দাজ নাই…(ভেদে মারেফাত, ১৫পৃ:)
২. শরিয়ত কামেল পীর সাহেব যদি এমন হুকম দেন যাহা প্রকাশ্যে শরিয়তের খেলাফ হয়, তবুও তা নিরাপত্তিতে আদায় করিবে (আশেকমাশুক, ৩৫পৃ.)
৩. আমি এত বড় আলীশান খোদা,আমি জমিন ও আসমানে সামাই হই না,একমাত্র মোমেনের কলবে সামাই হই….(ভেদে মারেফাত, ২১পৃ:)
৪. মনসুর হাল্লাজ আল্লাহ পাকের মোরাকাবা করিতে করিতে আল্লাহর নূরের মধ্যে গরক হইয়া হঠাৎ একদিন বলিতে লাগিলেন আনাল হক (আমি খোদা)… (আশেক মাশুক, ৪২পৃ.)
৫. পীর সাহেব হলেন আখেরাতের উকিল স্বরূপ… (ভেদে মারেফাত,৬০পৃ:)
৬.যেই ব্যক্তির পীর নাই, তাহার পীর শয়তান… (ভেদে মারেফাত,২৩পৃ:)
৭.বান্দা অসংখ্য গুনাহ করার ফলেআল্লাহ পাক তাহাকে কবুল করিতে চান না। পীর সাহেব আল্লাহ পাকের দরবারে অনুনয় বিনয় করিয়া ঐ বান্দার জন্য দোয়া করিবেন,যাহাতে তিনি কবুল করিয়া নেন।…(ভেদে মারেফাত,৩৪পৃ:)
৮. কাফন চোরের হাত আমার হাতের সঙ্গে লাগিয়াছে, এখন কেয়ামত দিবসে ওকে ছাড়িয়া আমি কেমনে পুলছপার হইয়া যাইব ? (ভেদে মারেফাত,২৭-২৮পৃ:)
৯. পীরের মুরীদ হওয়া ফরজ। (মাওয়াযেজ এসহাকিয়া)
১০.যদি কারো দুইজনপীর হয় তবে দুইপীর তোমার দুই ডানা ধরে বেহেশতে নিয়ে যাবেন, কোনই ক্ষতি নেই । (মাওয়াযেজ এসহাকিয়া, ৫৫-৫৬পৃ:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন